মোঃ হুমায়ুন কবির :
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে হাতের মেহেদির রং মুছে যাওয়ার আগেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে খুন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই গৃহবধূর নাম আছমা আক্তার জেরিন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাতে উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামে। ওই গৃহবধূর মৃত্যুর পর থেকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, সাতবাড়িয়া গ্রামের নুর আফজাল মোল্লার মেয়ে আছমা আক্তার জেরিনের (১৮) সাথে একই গ্রামের সিরাজ মজুমদারের ছেলে নাজমুল মজুমদারের চার মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ে হওয়ার পর থেকে জেরিনের ননদ মায়া ও ভাশুর কামরুল বিয়ে মেনে নিতে পারেননি। বিয়ের দুই মাস পর নাজমুল সৌদি আরবে চলে যাওয়ার পর থেকে তার ওপর মানসিক নির্যাতন করতে থাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সোমবার রাতে জেরিন তার শ্বশুরবাড়িতে শ্বশুর, ভাশুর, ননদ ও জা’র সাথে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছিল। এ সময় জেরিনের বড় ভাই আতিক প্রবাস থেকে মুঠোফোনে কল করলে কাজ রেখে ভাইয়ের সাথে কথা বলতে ঘরে চলে যায়। এতে ভাশুর নাজমুল, ননদ মায়া বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরে ঢুকে তাকে গলাটিপে ধরলে ও কিল-ঘুষি মারলে ঘটনাস্থলে জেরিন মারা যায়। পরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন এটিকে আত্নহত্যা বলে অপপ্রচার চালায়।
জেরিনের মা হাছিনা বেগম অভিযোগ করে বলেন, জেরিনকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুন করেছে। অপরাধীদের কঠিন বিচারও চান তিনি।
জেরিনের জ্যেঠা নুরুল হুদা মোল্লা বলেন, তার ভাতিজিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পরিকল্পিতভাবে মারধর করে হত্যা করেছে। তিনি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুৃমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply