অনলাইন ডেস্ক:
বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার সময় স্টিভ জবস বলেছিলেন, তিনটি বৈপ্লবিক উদ্ভাবনী পণ্যের সমন্বয় আইফোন। একটি হচ্ছে বৈপ্লবিক মোবাইল ফোন, প্রশস্ত পর্দার স্পর্শ নিয়ন্ত্রণযোগ্য আইপড ও যুগান্তকারী ইন্টারনেট যোগাযোগের যন্ত্র, যাতে ডেস্কটপের মতো ইমেইল বিনিময়, ওয়েব ব্রাউজ, সার্চ ও ম্যাপ দৃশ্যমান হবে। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান এটিঅ্যান্ডটির সঙ্গে চুক্তিতে আইফোন বাজারে আনার ঘোষণা দেয় অ্যাপল। ২০০৭ সালের ২৯ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রথম আইফোন বিপণন শুরু করে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানির বাজারে ২০০৭ সালের নভেম্বর থেকে আইফোন বিপণন শুরু হয়।
দ্বিতীয় প্রজন্মের আইফোন থ্রিজি ১১ জুলাই ২০০৮ সালে বাজারে আনে অ্যাপল। তৃতীয় প্রজন্মের আইফোন থ্রিজিএস বাজারে আসার ঘোষণা আসে ২০০৯ সালের ৮ জুন। ২০১১ সালের ৪ অক্টোবর বাজারে আসে পঞ্চম প্রজন্মের আইফোন ৪-এস। ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর স্টিভ জবস মারা যাওয়ার পর নতুন ধারার আইফোন বাজারে আনার কথা জানায় অ্যাপল।
বছরে বছরে একে একে আইফোন সিরিজের ৫সি, ৫এস, আইফোন ৬, ৬ প্লাস, ৬এস, ৬ এস প্লাস, ৭, ৭ প্লাস মডেলগুলো আত্মপ্রকাশ করে। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে আইফোন সেভেন সিরিজের ঘোষণা করেন অ্যাপল ব্র্যান্ডের নতুন সিইও টিম কুক।
আইফোন ৬ প্লাস
– ৫.৫ ইঞ্চি রেটিনা এইচডি ডিসপ্লে
– ৮ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা
– ১৪ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ
– সিকিউর অথেনটিকেশনের জন্য টাচ আইডি
আইফোন ৭ প্লাস
– ৫.৫ ইঞ্চি রেটিনা এইচডি ডিসপ্লে
– ১ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট স্থায়িত্ব
– ডুয়েল ১২ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা
– ৪কে ভিডিও রেকর্ডিং
– ১৪ ঘণ্টা
ব্যাটারি লাইফ
সিকিউর অথেনটিকেশনের জন্য টাচ আইডি
আইফোন ৮
– ৪.৭ ইঞ্চি রেটিনা এইচডি ডিসপ্লে
– ১ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট
-ডুয়াল ১২ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা
– ৪কে ভিডিও রেকর্ডিং
– ১৪ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ
– সিকিউর অথেনটিকেশনের জন্য – এ১১ বায়োনিক চিপের সঙ্গে ৬-কোর সিপিইউ
– ফাস্ট চার্জিং
– কিউআই ওয়্যারলেস চার্জিং
আইফোন এক্স ম্যাক্স
– ৬.৫ ইঞ্চি রেটিনা এইচডি ডিসপ্লে
– ২ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট
– ডুয়েল ১২ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা,
পোর্ট্রেইট মোড
– ৪কে ভিডিও রেকর্ডিং
– ১৫ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ
– সিকিউর অথেনটিকেশনের জন্য ফেস আইডি
– এ১২ বায়োনিক চিপের সঙ্গে ৬-কোর সিপিইউ এবং ৮-কোর নিউরাল ইঞ্জিন
– ফাস্ট চার্জিং
আইফোন ১১
– ৬.৫ ইঞ্চি লিকুইড রেটিনা এইচডি ডিসপ্লে
– ২ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়িত্ব
– ডুয়াল ১২ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা, পোর্ট্রেইট মোড, নাইট মোড, ডিপ ফিউশন
– ১২ ১২ মেগা পিক্সেল ট্রু-ডেপথ ফ্রন্ট ক্যামেরা
– ৪কে ভিডিও রেকর্ডিং
– ১৭ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ
– সিকিউর অথেনটিকেশনের জন্য ফেস আইডি
– এ১৩ বায়োনিক চিপের সঙ্গে ৬-কোর সিপিইউ এবং ৮-কোর নিউরাল ইঞ্জিন
– কিউআই ওয়্যারলেস চার্জিং
আইফোন ১২
– ৬.১ ইঞ্চি সুপার রেটিনা এক্সডিআর ডিসপ্লে
– ৬ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়িত্ব
– ডুয়েল ১২ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা, পোর্ট্রেইট মোড, নাইট মোড, ডিপ ফিউশন এবং ডলবি ভিশনে এইচডি আর ভিডিও রেকর্ডিং
– ১২ ১২ মেগা পিক্সেল ট্রু-ডেপথ ফ্রন্ট ক্যামেরা
– ১৭ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ
– সিকিউর অথেনটিকেশনের জন্য ফেস আইডি
– এ১৩ বায়োনিক চিপের সঙ্গে ৬-কোর সিপিইউ এবং ৮-কোর নিউরাল ইঞ্জিন
– ফাস্ট চার্জিং
– ৫জি এবং গিগাবাইট এলটিই
– মেগাসেফ কিউআই ওয়্যারলেস চার্জিং
আইফোন ১৩ প্রো
– ৬.১ ইঞ্চি সুপার রেটিনা এক্সডিআর ডিসপ্লের সঙ্গে প্রমোশন প্রযুক্তি
– ৬ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়িত্ব
– ডুয়েল ১২ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা, পোর্ট্রেইট মোড, নাইট মোড, ডিপ ফিউশন, ফটোগ্রাফি স্টাইল এবং সিনেমাটিক মোডে এইচডি আর ভিডিও রেকর্ডিং
– স্বল্প আলোতে দ্রুত অটোফোকাসের জন্য রয়েছে এলআইডিএআর স্ক্যানার টেকনোলজি।
– ২২ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ
– সিকিউর অথেনটিকেশনের জন্য ফেস আইডি
– এ১৫ বায়োনিক চিপের সঙ্গে ৬-কোর সিপিইউ এবং ১৬-কোর নিউরাল ইঞ্জিন
– ফাস্ট চার্জিং
– ৫জি এবং গিগাবাইট এলটিই
– মেগাসেফ কিউআই ওয়্যারলেস চার্জিং
আইফোন ১৪ প্রো
– ৬.১ ইঞ্চি সুপার রেটিনা এক্সডিআর ডিসপ্লের সঙ্গে প্রমোশন টেকনোলজি যুক্ত
– ক্র্যাশ ডিটেকশন
– ৬ মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়িত্ব
– ডুয়েল ৪৮ মেগা পিক্সেল ক্যামেরা, পোর্ট্রেইট মোড, নাইট মোড, ডিপ ফিউশন, ফটোগ্রাফি স্টাইল এবং সিনেমাটিক মোডে এইচডি আর ভিডিও রেকর্ডিং
– স্বল্প আলোতে দ্রুত অটোফোকাসের জন্য রয়েছে এলআইডিএআর স্ক্যানার টেকনোলজি।
– ২৩ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ
– সিকিউর অথেনটিকেশনের জন্য ফেস আইডি
– এ১৬ বায়োনিক চিপের সঙ্গে ৬-কোর সিপিইউ এবং ১৬-কোর নিউরাল ইঞ্জিন
– ৫জি এবং গিগাবাইট এলটিই
– মেগাসেফ কিউআই ওয়্যারলেস চার্জিং।
আইফোন ১৫ সিরিজ
চার্জিং ব্যবস্থায় ‘সি’ টাইপ পোর্ট থাকবে আইফোনের নতুন মডেলে। চারটি নতুন রঙের আইফোন মডেল দৃশ্যমান হবে এবারও। যার মধ্যে দুটি আইফোন ১৫ মডেল আর দুটি আইফোন ১৫ প্রো সিরিজের মডেল। আইফোনের অন্যতম মূল আকর্ষণ ক্যামেরা ফিচার। বাজারের প্রায় সবার শেষে ৪৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা ফিচার যুক্ত হয়েছিল আইফোন ১৪ সিরিজের প্রিমিয়াম মডেলে; যা এবার ১৫ সিরিজের সব ফোনে থাকবে বলে খবরে প্রকাশ। চলতি বছর থেকে সনি গ্রুপ অ্যাপলের কাছে তাদের ‘স্টেট অব দি আর্ট’ ইমেজ সেন্সর সরবরাহ করছে।
আইফোন ১৫ প্রো ম্যাক্সের টেলি-ফটো ক্যামেরার জন্য পেরিস্কোপ লেন্স সিস্টেম ব্যবহার করা হবে। আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্সে ৩এক্স অপটিক্যাল জুম সুবিধা ছিল। কিন্তু ১৫ প্রো ম্যাক্সে ৬এক্স অপটিক্যাল জুম করা যাবে।
আইফোন ১৫ সিরিজের প্রিমিয়াম মডেল আইফোন ১৫ প্রো এবং প্রো ম্যাক্স অ্যাপলের পরের প্রজন্মের এ-১৭ চিপ ব্যবহার করতে পারে। এ-১৭ চিপ তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির (টিএসএমসি) ৩-ন্যানোমিটার প্রক্রিয়ায় নির্মিত প্রথম এ-সিরিজের চিপ। ১৪ সিরিজের নন-প্রিমিয়াম মডেলে এ-১৫ এবং প্রিমিয়াম মডেলে ছিল এ-১৬ চিপ; যার দেখা মিলবে ১৫ সিরিজের নন প্রিমিয়াম মডেলে।
Leave a Reply