নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক বহুল আলোচিত শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অস্ত্র আইনের মামলার প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ সাক্ষ্য নেয়া হচ্
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েসের আদালতে সোমবার পাপিয়াদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছেন জব্দ তালিকা প্রস্তুতকারী র্যা ব কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
এই আদালতই ২৩ আগস্ট এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজকের দিন করেছিলেন।
অস্ত্র আইনের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজ সকালে যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামীকে কারাগার থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে গত ২৯ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যা বের উপপরিদর্শক আরিফুজ্জামান শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র আইনে করা মামলায় তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে সাক্ষী করা হয়েছেন ১২ জনকে। তাদের মধ্যে একজন আদালতে সাক্ষী দিচ্ছেন।
২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যা ব। গ্রেফতার অন্যরা হলেন- পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)।
তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারের পর ওই দিন রাতেই নরসিংদীর বাসায় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে হোটেল ওয়েস্টিনে তাদের নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়।
ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি, বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।
পাপিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। তিনি তরুণীদের চাকরি দেয়ার কথা বলে ঢাকায় এনে দেহব্যবসায় যুক্ত করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ও প্রশাসনের উচ্চ মহলকে ব্ল্যাকমেইল করে বড় বড় কাজ বাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে এই নেত্রীর বিরুদ্ধে।
Leave a Reply