1. mti.robin8@gmail.com : Touhidul islam Robin : Touhidul islam Robin
  2. newsnakshibarta24@gmail.com : Mozammel Alam : Mozammel Alam
  3. nakshibartanews24@gmail.com : nakshibarta24 :
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন
১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার স্বার্থে উগ্রপন্থা ঠেকাতে হবে

  • প্রকাশকালঃ বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১
  • ১৮৪ জন পড়েছেন

হারুন হাবীব :


২০২০-২১-এর করোনা মহামারি বিশ্বকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। প্রায় ৩০ লাখ মানুষ মারা গেছে এরই মধ্যে। বাংলাদেশও এ বিপদ থেকে মুক্ত নয়। জনজীবন, অর্থনীতি, সামাজিক ও পারিবারিক কাঠোমো মহামারির আঘাতে পর্যুদস্ত। সে কারণে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপনের বেশির ভাগ অনুষ্ঠান বাতিল হয়েছে। শুধু চলতি বছরের ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত কয়েকটি অনুষ্ঠান রাখা হয়েছিল, যাতে দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান মহামারির সংকট সত্ত্বেও সশরীরে উপস্থিত হয়েছিলেন। যাঁরা আসতে পারেননি, তাঁরা এই উদযাপনকে স্বাগত জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন। সবাই বাংলাদেশের জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেছেন।

কিন্তু আতঙ্কের বিষয় যে এই সীমিত পরিসরের অনুষ্ঠানটিও বাধার সম্মুখীন হয়েছে। যাঁরাই দেশের পত্রিকা, টেলিভিশন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২৬শে মার্চ এবং পরের কয়েক দিনের তাণ্ডব দেখেছেন, তাঁরাই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়েছেন। কারণ তাঁরা দেখেছেন মাদরাসার ছোট ছোট অবুঝ বাচ্চাকে পর্যন্ত কিভাবে ধর্মান্ধ বানানোর চেষ্টা চলেছে। সাধারণ মানুষকে কিভাবে খেপিয়ে তোলার চেষ্টা হয়েছে! এসব দৃশ্য দেখার পর স্বভাবতই একটি প্রশ্নের জন্ম দেয়, কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠনটি কি এখন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার চেষ্টা করছে, নাকি বাংলাদেশে কোনো তালেবানি বিপ্লবের মহড়া দেওয়া হচ্ছে? এসব কি তারই লক্ষণ স্পষ্ট করে না?

যেকোনো আন্দোলনের উপযুক্ত পরিবেশ এবং কারণ না থাকলে তা অবধারিতভাবেই ব্যর্থ হয়, যার দায়ভার নিতে হয় নেতাদের। অপরিণামদর্শী এসব আন্দোলনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ। সে কারণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে যে প্রতিবাদ আয়োজন হয়েছিল তার যুক্তিগ্রাহ্যতা ভেবে দেখার বিষয়। নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফর করেছেন। আন্দোলনকারীরা তখন নিশ্চুুপ ছিলেন, এমনকি সরকারবিরোধী শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারাও সাদর সম্ভাষণ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। অতএব, প্রশ্ন তোলার অবশ্যই অবকাশ থাকে যে মাদরাসার তালেবে এলেমদের এবার কেন মাঠে নামাতে হলো, যখন সেই একই নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী আয়োজনে যোগ দিতে এলেন?

এ কথা অস্বীকারের জো নেই, ভারতে যে হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনীতির উত্থান ঘটেছে তার কেন্দ্রমূলে আছেন নরেন্দ্র মোদি। দীর্ঘকালের একচ্ছত্র কংগ্রেসি শাসন এবং বামধারা ও মধ্যপন্থীদের ক্ষণিক রাজত্বের পর হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনীতি প্রায় গোটা ভারতকেই নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে। এই উত্থান কতটা স্থায়ী বা ঠুনকো, তা বিচারের সময় এখনো আসেনি। তবে খোদ ভারতেই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ আছে। সরকারবিরোধী মহলে প্রকাশ্যেই বলা হচ্ছে, যে ভারতের শক্তি তার বহুত্ববাদের সম্মিলনে, সেই ভারতে যদি একক কোনো ধর্মের কট্টর আধিপত্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা জেঁকে বসে, তাহলে বড় বিপদের সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, নরেন্দ্র মোদি ভারতের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। দেশটির বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ভোটে নির্বাচিত হয়ে তাঁর দল দিল্লি শাসনের বৈধ অধিকার লাভ করেছে। আমাদের কারো পছন্দ বা অপছন্দে কী যায় আসে তাতে? ভারতের রাজনৈতিক উত্থান বা পতন নির্ভর করে ভারতের গণমানুষের সমর্থন বা অসমর্থনের ওপর, বাংলাদেশের মানুষের ওপর নয়। কিন্তু দেখা গেল উগ্র সাম্প্রদায়িক হুজুগ তোলা হলো, চার-পাঁচ বছরের শিশু থেকে শুরু করে যুবক তালেবে এলেমদের লাঠি, চাকু-তরবারি হাতে উত্তেজিত করে মাঠে নামানো হলো! যত্রতত্র ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হলো, ঠিক যেন এক জিহাদি ডাক!

কেউ কেউ বলতেই পারেন যা ঘটেছে তা আকস্মিক। কিন্তু সবাই এই যুক্তি কি মানবেন? কারণ গণমাধ্যমের ছবি ও খবরে পরিষ্কার হয়েছে, এই আন্দোলনের মূল টার্গেট হয়ে উঠেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জনক এবং একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ, যে জনযুদ্ধ এই রাষ্ট্রকে জন্ম দিয়েছে! এবং আরো দেখা গেছে, এই তাণ্ডবে মোদি যতটা না মুখ্য, তারও চেয়ে মুখ্য টার্গেট হয়ে উঠেছিল ভারত, যে দেশ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল সহযোগী শক্তি! গণতান্ত্রিক সমাজে নাগরিকের পূর্ণ অধিকার থাকে মত ও দ্বিমত প্রকাশের, এমনকি প্রতিবাদও হতে পারে সরকারি নীতি-অবস্থানের। কিন্তু যেভাবে পবিত্র ধর্মের নাম ভাঙিয়ে উন্মাদনা সৃষ্টি করা হয়েছে; যেভাবে রেলস্টেশন, সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা, ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে; যেভাবে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙা হয়েছে; ভূমি অফিস, মিউনিসিপ্যালিটি তছনছ হয়েছে; পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে; সাধারণ জনজীবন আক্রান্ত হয়েছে, তাতে কি আন্দোলনের পরিকল্পনাকারীরা তাঁদের উদ্দেশ্য ঢাকতে পেরেছেন?

অনেক বিশ্লেষকই মনে করতে বাধ্য যে এই ঘটনাবলির মাঝ দিয়ে প্রথমত, পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পূরণের ঐতিহাসিক বার্ষিকীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছে। দ্বিতীয়ত, যে যুগস্রষ্টা গণনায়কের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন চলছিল, তাকেও আঘাত করার ঔদ্ধত্য দেখানো হয়েছে। তৃতীয়ত, কওমি মাদরাসাভিত্তিক তালেবে এলেমদের নিয়ে একটি বিশেষ ধর্মবাদী ও ধর্মজীবী মহলের রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের মহড়া দেওয়া হয়েছে। অথচ একটিবারের জন্যও ভাবা হয়নি এ দেশের অগণিত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় আছে, তাদেরও বহুসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী আছে, আরো আছে অন্যান্য মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রী, তারা এই রাজনৈতিক মহড়াকে কী চোখে দেখবে?

আরেকটি প্রশ্ন আছে। এসব করে কি ধর্মান্ধ ও ধর্মজীবী গোষ্ঠী আখেরে সফল হতে পারবে? তারা কি রাষ্ট্র, সংবিধান, পার্লামেন্ট, বিদ্যমান আইন উল্টে দিতে পারবে? তারা কি ১৯৭১-এর বিজয় পাল্টে দিয়ে ১৯৪৭-এর সাম্প্রদায়িক চেতনার পুনরাভিযান সম্পন্ন করতে পারবে? খুব স্পষ্ট করেই বলা যায় যে সেটা সম্ভব হবে না। কারণ ১৯৪৭-এর দ্বিজাতিতত্ত্বকে এই বাঙালি জনগোষ্ঠী পরাস্ত করেছিল ১৯৭১-এর যুদ্ধক্ষেত্রে, যখন এই মাটিতে লাখো দেশপ্রেমিক আত্মাহুতি দিয়েছেন, লাখো বাঙালি নারী সম্ভ্রম হারিয়েছেন, যে প্রলয়ংকরী জাতীয় যুদ্ধের ক্ষতচিহ্ন ৫০ বছর পরও এই মাটি ধারণ করে আছে।

ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের নানা পালাবদলের পরও বলতে হবে, ১৯৭১ বাংলাদেশ ও ভারতের গণমানুষের এমন অবিচ্ছেদ্য এক অধ্যায়, যাকে আঘাত করা বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসকেই আঘাত করা। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ ইতিহাসের সত্যকেই শুধু সম্মান জানায়নি, একই সঙ্গে ভারতের গণমানুষের ঐতিহাসিক ভূমিকার প্রতি বাংলাদেশের গণমানুষের কৃতজ্ঞতাকে প্রকাশ করেছে। ভুলে গেলে চলবে না যে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী ও তাদের দেশীয় অনুচরদের নির্যাতনে দেশত্যাগী এক কোটি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছিল ভারত, মুক্তিবাহিনী সর্বাত্মক সহায়তা পেয়েছিল ভারতের মাটিতে এবং এক পর্যায়ে মুক্তিবাহিনীর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সদস্যরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন, জীবন দিয়েছেন।

ভারতের গণমানুষ বাংলাদেশের জাতির পিতার প্রতি কতটা শ্রদ্ধাশীল তার প্রমাণ আছে ইতিহাসে এবং সাম্প্রতিক অতীতে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে ভারত, যা দেশটি আগে করেছিল আব্রাহাম লিংকন, মার্টিন লুথার কিং, ভ্লাদিমির লেনিন ও হো চি মিনের ক্ষেত্রে। তবে অস্বীকার করার জো নেই, দুই দেশের মধ্যে আজও বহুল আলোচিত অমীমাংসিত কিছু বিষয় আছে, যার দ্রুত সুরাহা জরুরি। অভিন্ন নদী, বিশেষত তিস্তার পানিবণ্টন ও সীমান্ত হত্যার মতো বহুল আলোচিত সমস্যার সমাধান হলো না কেন, তা নিশ্চয়ই ভাবতে হবে। সাম্প্রতিককালে এসেছে ভারতের নাগরিক নিবন্ধন ইস্যু, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং সেই সঙ্গে রাজ্য নির্বাচনগুলোতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। বাংলাদেশের উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এসব বিষয়কে ব্যবহার করে রাজনৈতিকভাবে লাভবান হতে চাইবে, তা বলাই বাহুল্য। অনস্বীকার্য, দীর্ঘ লাগোয়া সীমান্ত এবং একই ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের মানুষের বসবাস বলে এসব সংকট এক দিনেই মুছে ফেলা যাবে না। কিন্তু এটিও তো সত্য যে দুই দেশ ছিটমহল বিনিময় ও সমুদ্র সীমানা নির্ধারণের মতো কয়েক যুগের সুপ্রাচীন সংকটগুলো সমাধানের বিস্ময়কর সফলতা দেখিয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনার সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে। ভারত ও বাংলাদেশ সম্পর্ককে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। অতএব, অমীমাংসিত ও অস্বস্তিকর ইস্যুগুলোতে ভারতের সর্বোচ্চ সদিচ্ছা দেখানোর সুযোগ আছে। কারণ শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সবাই চান, বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব আরো সম্প্রসারিত হোক।

ধর্ম এবং ধর্মাশ্রিত রাজনীতি এক নয়। সাধারণ মানুষ ধর্মীয় কারণে ইমাম ও ধর্মবিদদের সমীহ করেন নিঃসন্দেহে; কিন্তু মোল্লাতন্ত্রকে মেনে নিয়েছেন এমনটা দেখা যায়নি। বরং মানুষের ধর্মানুভূতিকে ব্যবহার করে যাঁরা রাজনীতি করতে চান, তাঁরা যুগে যুগেই গণশত্রুতে পরিণত হয়েছেন। সে কারণেই রাজনীতিতে ধর্মান্ধ ও ধর্মজীবী গোষ্ঠীর অন্যায্য হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বিশ্বের নানা প্রান্তেই বিপ্লব ঘটেছে এবং সে বিপ্লবে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সমর্থন দিয়েছে। ১৭৮৯-৯০ সালের ফরাসি বিপ্লবের পর প্রতাবশালী পাদ্রিদের সম্পদ রাষ্ট্রায়ত্ত করে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। একদিকে রাজা লুইস, অন্যদিকে অত্যাচারী ক্যাথলিক প্রিস্টদের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ ঘটেছে। ফ্রান্সের এই বিপ্লব গোটা ইউরোপে রাষ্ট্রের বা সরকারের আধিপত্য স্থাপনের পথ সুগম করেছে। পরবর্তীকালেও দেশে দেশে মোল্লাতন্ত্রের উত্থান ঠেকানো হয়েছে।

কেউই অস্বীকার করবেন না যে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর থেকে প্রায় দুই যুগ ধরে দেশের স্বাধীনতাবিরোধীদের পরিকল্পিতভাবে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। ফলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও আদর্শধারীরা দুই যুগ পর ক্ষমতায় ফিরে বিস্তর সংকটের সম্মুখীন হয়েছিলেন। অনুমান করি, হয়তো বা সে প্রেক্ষাপটেই শত্রুপক্ষকে মোকাবেলার কৌশলী পথ খুঁজতে হয়েছিল। কিন্তু ২০১৩ ও ২০২১-এর শেষ মার্চের ঘটনাবলি নতুন উপলব্ধির সুযোগ করে দিয়েছে। না, শুধু এবারেই নয়, এই একই ধর্মান্ধ মৌলবাদী শক্তি সাম্প্রতিক অতীতেও বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ওপর আঘাত হেনেছে, মুক্তচিন্তা ও বাঙালির শাশ্বত সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। মুখে যতই অরাজনৈতিক বলুক, আইন ও সংবিধানের বাইরে দাঁড়িয়ে তারা মোল্লাতন্ত্র চাপিয়ে দিতে চেয়েছে। জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তাদের কাছে বড় হয়ে ওঠেনি। ভাবতে অবাক লাগে, এদের একটি বড় অংশ আজও জাতীয় সংগীত ও জাতীয় পতাকা গ্রহণ করেনি। রাষ্ট্রের ভেতরে আরেক রাষ্ট্রের জন্ম দিতে চেয়েছে তারা। বাংলাদেশের মানুষ শুধু ধার্মিক নয়, ধর্মকে তারা জীবনের বড় অনুষঙ্গ মনে করে; তারা ধর্মবিরোধিতা যেমন প্রতিরোধ করে, একই সঙ্গে ধর্মের নামে মোল্লাতন্ত্র প্রতিরোধ করে। অতএব, বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস, বাঙালির লালিত ঐতিহ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার স্বার্থে এই উগ্রপন্থা ঠেকাতে হবে। এর বিকল্প কোথায়?

লেখক : মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও বিশ্লেষক

সূত্র : দৈনিক কালের কণ্ঠ।

খবরটি সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো খবর

বিজ্ঞাপন

Laksam Online Shop

first online shop in Laksam

© All rights reserved ©nakshibarta24.com
কারিগরি সহায়তায় বিডি আইটি হোম